
বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা এবং কয়েকজন বিশিষ্ট লেখকের লেখা বাদ দেওয়ার বিষয়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সিদ্ধান্ত
নিয়েছে যে জাফর ইকবালসহ চারজন লেখকের গল্প ও প্রবন্ধ পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হবে। বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পাঠ্যপুস্তকগুলোতে তাদের লেখাকে সম্পাদনা ও পরিমার্জন করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত কারিকুলামের আধুনিকায়ন, নতুন শিক্ষাক্রমের প্রয়োজনীয়তা এবং কিছু ক্ষেত্রে চুক্তি ও কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয় ভূমিকা রেখেছে।
এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় ও ভাষাগত জ্ঞানের বিস্তারে আরবি ভাষার অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে নানা মতামত ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবি পর্যবেক্ষণ করছে।
এই পরিবর্তনের পেছনে আরেকটি প্রাসঙ্গিক দিক হল শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও মূল্যবোধের পুনঃমূল্যায়ন। এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে যে পাঠ্যপুস্তকের উপাদান পরিমার্জন করার সময় বিষয়ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা শিক্ষাক্রমের মান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কাজ করছে। বিতর্কিত ও সমালোচনার মুখে থাকা লেখাগুলোর বিষয়ে আলাদা নজর দেওয়া হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে লেখকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, অনুমতির অভাব, বা অন্য কিছু কারণে তাদের লেখা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে যেমন সংস্কৃতির সংরক্ষণ, তেমনি ঐতিহ্য ও শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এ বিষয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ও মতামত পাওয়া যাচ্ছে, যা শিক্ষামূলক পরিবেশের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
0 Comments